ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহর ইসরাইলের ঘোষিত বিপৎসীমায় প্রবেশ করেছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, বহরটি বর্তমানে গাজার উপকূল থেকে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর আগে একই সীমায় প্রবেশ করলে অন্যান্য ত্রাণবাহী বহর আটকানো বা আক্রমণের মুখে পড়েছিল। ফলে এবারও নৌবহরটির গতিপথ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ নৌবহর আটকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিকল্পনায় রয়েছে শত শত যাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আশদোদ বন্দরের মাধ্যমে দেশ থেকে বহিষ্কার করা। তবে প্রায় ৫০টি জাহাজ একসঙ্গে টেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে কিছু জাহাজ সাগরে ডুবিয়ে দেওয়ার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। অভিযানটি ইহুদিদের অন্যতম পবিত্র দিন ইয়ম কিপ্পুরের সময় শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, ফ্লোটিলাটি দখলে নিতে নৌবাহিনীর কমান্ডো ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যেই বুধবার সকালে একটি ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ বহরের প্রধান জাহাজ আলমার পাঁচ ফিটের মধ্যে চলে আসে এবং এর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ইঞ্জিন জ্যাম করে দেয়। যদিও কিছু সময় পর সেটি সরে গেলে বহরটি পুনরায় যাত্রা শুরু করে।
আল জাজিরার একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, এই সময় নিরাপত্তা প্রোটোকল মেনে অধিকারকর্মীরা নিজেদের মোবাইল ফোন সমুদ্রে নিক্ষেপ করেন। পরে প্রধান জাহাজ আলমার সাথে পুনরায় যোগাযোগ পুনঃস্থাপন হয়। বর্তমানে ৫০টির বেশি নৌযান নিয়ে গঠিত এ বহরে আছেন পাঁচ শতাধিক অধিকারকর্মী, যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
গাজায় দীর্ঘ ইসরাইলি অবরোধ ও এর ফলে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি ভাঙতে চলতি মাসের শুরুতে এই ত্রাণবাহী নৌবহরের যাত্রা শুরু হয়েছিল।