ট্রাম্পের এ পরিকল্পনার বিস্তারিত দিকগুলো বেশ সুনির্দিষ্ট। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা গাজা উপত্যকা থেকে সরে যাবে এবং তাদের শূন্যস্থান পূরণ করবে আরব দেশগুলোর সমন্বিত বাহিনী। এতে করে গাজার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে। একই সাথে, পরিকল্পনায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, হামাস কোনো অবস্থাতেই গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতার অংশ হতে পারবে না।
গাজার পুনর্গঠনে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে, যা ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী আরব দেশগুলোই সরবরাহ করবে। ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়া এ পরিকল্পনার প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে গাজায় সামরিক বাহিনী পাঠাতে রাজি হয়েছে। এই পরিকল্পনার বিষয়টি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও অবগত আছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবে কিছু "তিক্ত শর্ত" রয়েছে, যার মধ্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে গাজার প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি অন্যতম। নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, এ প্রস্তাবনা কার্যকরের পথে কিছুটা জটিলতা থাকলেও এটি আলোচনার টেবিলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।