আফগানিস্তানের কৌশলগত বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখলে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তালেবান সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তান যদি ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত না দেয়, তবে ‘খারাপ কিছু ঘটতে পারে’। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলার পর আফগানিস্তানে প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্র। একই বছর বাগরাম বিমানঘাঁটি নির্মাণ ও ব্যবহার শুরু করে মার্কিন সেনারা। দুই দশক পর, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সরে দাঁড়ায় এবং শেষ পর্যায়ে কাবুলের দক্ষিণে অবস্থিত ওই ঘাঁটিও ছেড়ে যেতে হয়। সে সময় আফগান জনমত একে ‘প্রত্যাহার নয়, বরং পালানো’ হিসেবে দেখেছিল।
তবে কয়েক বছর পর আবারও বাগরাম ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সচেষ্ট হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিএনএন জানায়, চলতি বছরের মার্চ থেকেই এ বিষয়ে আলোচনার তোড়জোড় চলছে। গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই জানান, বাগরাম ঘাঁটি ফেরত আনার প্রচেষ্টা চলছে। চীনের নিকটবর্তী হওয়ায় ঘাঁটিটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সেনা পাঠানো হবে কিনা—এ নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ট্রাম্প জানান, আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত বিমানঘাঁটি ফেরত চায়। যদি তালেবান তা না করে, তবে পরিস্থিতি ভিন্ন রূপ নেবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
অন্যদিকে তালেবান প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে কোনোভাবেই বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার এক বিবৃতিতে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাকির জালালি বলেন, কাবুল যেকোনো বিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি, তবে শর্ত হলো—আফগানিস্তানের ভেতরে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি থাকবে না। তিনি আরও বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে তালেবান সরকার প্রস্তুত।
আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত চাইছে যুক্তরাষ্ট্র, তালেবানের কড়া প্রত্যাখ্যান
- আপলোড সময় : ২১-০৯-২০২৫ ১০:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২১-০৯-২০২৫ ১০:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ