ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের তেল আবিব ও মধ্যাঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বাজতে শুরু করলে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করার পদক্ষেপ নেয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
আইডিএফের (ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) মতে, সতর্কতা সংকেতের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ শনাক্ত করা হয় এবং তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে হুতিরা প্রায়ই ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে; পাল্টা হিসেবে ইসরাইল ইয়েমেনে বিমান হামলা চালায়।
এদিকে ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকার বহু এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি গাজা সিটিতে নেতানিয়াহু সরকারের বাহিনীর হামলায় একটি বহুতল আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত হয় এবং একাধিক হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়।
চলমান সহিংসতা ও অবরোধ বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ একটি সাত পাতার ঘোষণা অনুমোদন করে, যা সৌদি আরব ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে জুলাইয়ে হওয়া আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ভিত্তিতে তৈরি। ১৪২টি দেশ পক্ষে, ১০টি বিপক্ষে এবং ১২টি ভোটদানে বিরত থাকে। ঘোষণায় বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলা যেমন নিন্দনীয়, তেমনি গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ, অবরোধ ও অনাহারও অমানবিক। এতে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক সংকটের অবসান ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।