নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকির নাম প্রস্তাব করেছে তরুণ প্রজন্মের বিক্ষোভকারীরা। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে কাঠমান্ডুতে ছয় ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ আলোচনায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় জেন-জি আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
সন্ধ্যায় সেনাপ্রধানের সভাপতিত্বে সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে শুরু হয় বিশেষ এই বৈঠক, যেখানে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যুক্ত হন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তরুণ প্রতিনিধিরা। আলোচনা চলাকালে তারা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিক্ষোভকারীদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে সুশীলা কারকিকে বসানোর প্রস্তাব আনেন তারা। পরবর্তীতে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, জেন-জিদের অনুরোধে এই দায়িত্ব নিতে সম্মতি জানিয়েছেন কারকি।
নেপালে সাম্প্রতিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। দ্রুতই তা রূপ নেয় সরকারবিরোধী এক প্রবল গণবিক্ষোভে। পুলিশের গুলি, সহিংসতা ও দমননীতির ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ৩০ জন বিক্ষোভকারী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রীসহ শাসকশ্রেণি।
উল্লেখযোগ্য যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের জন্য সুপরিচিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কারকি এবার তরুণ আন্দোলনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থনও জানিয়েছেন। নিহতদের ন্যায়বিচারের প্রশ্নেও তার সরব অবস্থান স্থানীয়দের কাছে নতুন করে আলোচনায় এসেছে।