বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হলো চতুর্থ দফা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টিআরই-৪)। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রায় তিন হাজার তরুণ পাটনা কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের বাসভবনের দিকে মিছিল শুরু করেন। কেতন মার্কেট, বকরগঞ্জ, গান্ধী ময়দান হয়ে ডাকবাংলো স্কয়ার পর্যন্ত মিছিল ছড়িয়ে পড়ার কারণে পুরো শহরে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
চাকরিপ্রত্যাশীরা দাবি করছেন, সরকারের পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হতো। তবে শিক্ষামন্ত্রী সুনীল কুমার ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা দেন, এবার মাত্র ২৬ হাজারের কিছু বেশি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন প্রস্তুতি নেওয়া তরুণরা এই ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন।
ছাত্রনেতা দিলীপ কুমার অভিযোগ করেছেন, “ডোমিসাইল নীতি কার্যকর হওয়ার আগে সরকার বিভিন্ন সময়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার শূন্যপদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু নিয়ম চালুর পর পদ সংখ্যা কমিয়ে ২৭ হাজার ৯১০-এ আনা হয়েছে। এটি প্রকাশ্য প্রতারণা।” তিনি আরও বলেছেন, বাইরের রাজ্যের প্রার্থীদের আকৃষ্ট করতে আগে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি শূন্যপদ দেখানো হয়েছিল। এখন স্থানীয়দের জন্য সুযোগ রাখতে পদ সংখ্যা কমানো হয়েছে, যা তরুণদের মধ্যে হতাশা এবং আস্থাহীনতা তৈরি করেছে।
বিক্ষোভকারীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বহুবার প্রকাশ্যে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুটি রাজনৈতিকভাবে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। চাকরিপ্রত্যাশীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পূর্ণ শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর আকার ধারণ করবে।