রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে শিগগির কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা নেই। ফলে চলমান যুদ্ধের অবসান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, পুতিন বৈঠকে রাজি আছেন, তবে তা তখনই সম্ভব যখন আলোচনার জন্য একটি সুস্পষ্ট এজেন্ডা প্রস্তুত হবে। তার ভাষায়, “শুধু বৈঠকের জন্য বৈঠক অর্থবহ নয়।”
সম্প্রতি আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক এবং পরবর্তীতে ওয়াশিংটনে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস পুতিন-জেলেনস্কি আলোচনার উদ্যোগ নেয়। সম্ভাব্য বৈঠকের স্থান ও তারিখ নিয়ে কাজও শুরু করেছে মার্কিন কর্মকর্তারা।
এদিকে জেলেনস্কি মুখোমুখি আলোচনার জন্য তুরস্ক, অস্ট্রিয়া এবং সুইজারল্যান্ডকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ইউরোপের কোনো নিরপেক্ষ দেশে বৈঠক হলে তা ফলপ্রসূ হতে পারে।
তবে ক্রেমলিন বৈঠক নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। রুশ উপ-রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, “কেউ বৈঠক নাকচ করেনি, কিন্তু নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি ছাড়া এ ধরনের বৈঠকের কোনো বাস্তব ফল আসবে না।” রাশিয়ার আইনপ্রণেতা কনস্তান্তিন জাতুলিন মনে করেন, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠককে এক ধরনের ছাড় হিসেবে দেখবে ক্রেমলিন, যা মূলত ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতেই হতে পারে।
ল্যাভরভও একই বক্তব্য দিয়েছেন। তার দাবি, ইউক্রেন শান্তি চুক্তির অগ্রগতিতে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনায় প্রস্তুত, কিন্তু শর্ত হলো বৈঠকের জন্য একটি কার্যকর এজেন্ডা থাকতে হবে।”