বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো নির্বাচন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ইতিহাসের ভয়াবহতম ফ্যাসিবাদী শক্তি পতনের পর গণতন্ত্রকামী শক্তির মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে জড়ানো শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের শামিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক ধারায় গুণগত পরিবর্তন আনা জরুরি।
তিনি আরও জানান, বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি হবে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার রাজনীতি। দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা দলের অঙ্গীকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর জনগণ নিজেদের ভোটের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে—এটাই এখন সবার প্রত্যাশা। তিনি সতর্ক করে বলেন, গণতন্ত্রকামী শক্তির ভেতরে বিভক্তি তৈরি হলে পরাজিত ফ্যাসিবাদ পুনরায় ফিরে আসতে পারে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য অপরিহার্য।
তারেক রহমান বলেন, সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে জনগণ শক্তিশালী হবে, আর জনগণ শক্তিশালী হলে দেশও শক্তিশালী হবে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এমন কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তার ভাষায়, "জনশক্তিই বিএনপির শক্তি, তাই দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য।"