ইতালির জেনোয়া বন্দরের কর্মীরা ইসরাইলের উদ্দেশে যাওয়া একটি সৌদি জাহাজে অস্ত্র বোঝাই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কর্মীরা জানান, তারা যুদ্ধের জন্য কোনো কাজ করবেন না।
প্রেস টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘বাহরি ইয়ানবু’ নামের সৌদি জাহাজটি গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড থেকে জেনোয়া বন্দরে পৌঁছায়। জাহাজটিতে ইতালির প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান লিওনার্দোর তৈরি সামরিক সরঞ্জাম বোঝাই হওয়ার কথা ছিল। এর আগে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর বন্দর থেকে অস্ত্র বোঝাই করে ইতালিতে আসে।
অস্ত্র বোঝাই বন্ধে অটোনোমাস কালেক্টিভ অব পোর্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ইউনিয়ন নামে বন্দরকর্মীদের সংগঠন স্পষ্ট জানায়, তারা যুদ্ধের জন্য কাজ করবেন না। তাদের এই অবস্থানের পর বন্দর কর্তৃপক্ষ সেপ্টেম্বরে অস্ত্র পরিবহনের ওপর স্থায়ী পর্যবেক্ষক দল গঠনের প্রতিশ্রুতি দেয়।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, জাহাজটিতে আগে থেকেই গোলাবারুদ ও ভারি অস্ত্র মজুদ রয়েছে, যা ইসরাইলে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। এসবের মধ্যে আবুধাবির জন্য একটি ওটো মেলারা কামান ও সম্ভাব্য ট্যাঙ্কসহ ভারি সামরিক সরঞ্জামও ছিল। তবে বন্দরকর্মীরা এগুলো বোঝাই করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ২০১৯ সালে জেনোয়া বন্দরের কর্মীরা একইভাবে অস্ত্রবাহী একটি জাহাজ আটকে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি, গত ৪ জুন ফ্রান্সের ফোস-মার্সেই বন্দরকর্মীরাও ইসরাইলের জন্য আনা সামরিক উপকরণ জাহাজে তুলতে অস্বীকৃতি জানান, ফলে জাহাজটি অস্ত্রবিহীনভাবেই বন্দর ছাড়তে বাধ্য হয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বন্দরকর্মীরা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে এমন উদ্যোগ নিয়ে আসছেন।