কাশ্মীর উপত্যকার কুলগাম অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় ভারতের সেনাবাহিনী ও একদল পাঁচ সদস্যের গেরিলাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে, যা দশ দিন যাবত অব্যাহত রয়েছে। এই গেরিলারা জাঈশে মুহাম্মদ নামে সংযুক্ত জাতিসংঘ দ্বারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত। ভারতের ন্যাদার্ন কমান্ডের অপারেশনের সময় এক গেরিলা নিহত হওয়ার পর এখনও চার জন গেরিলা ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আধুনিক থার্মাল ও নাইট ভিশন সরঞ্জাম ব্যবহার করছে বলে সেনাবাহিনী আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। কাশ্মীরের কিশতওয়ার অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় সাম্প্রতিক একটি নতুন সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, যেখানে দুই গেরিলা—রিয়াজ আহমাদ ও মুদাসসির হুসাঈনের বিরুদ্ধে এক কর্ডন এবং সার্চ অপারেশন (CASO) পরিচালনা করে তাদের ধাওয়া ও হত্যা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীর উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে পর্যায়ক্রমিক ভাবে সশস্ত্র সংঘাতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই অঞ্চলের জঙ্গি কার্যক্রমের মধ্যে জাঈশে মুহাম্মদ একটি প্রধান সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত, যার নেতৃত্ব বর্তমানে আফগানিস্তানে অবস্থিত। এই সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসবাদের পটভূমিতে স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন, যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ও এলাকায় সাধারণ নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়মিত কর্ডন ও সার্চ অপারেশন চালিয়ে এই সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা করছে।