এই করিডরটি দক্ষিণ ককেশাসে, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান মধ্যে মার্কিন মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত একটি শান্তি চুক্তির অংশ, যা আজারবাইজানের মূল ভূখন্ডকে নাখ্চিভান স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এটি আর্মেনিয়ার সিউনিক অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৯৯ বছরের জন্য করিডরের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার একচেটিয়া অধিকার দেবে। করিডরের এই অবস্থান ইরানের সীমানার খুব কাছে হওয়ায় তেহরান এতে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ইরান এই করিডরকে ককেশাস অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার চেষ্টা হিসেবে দেখে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করবে এবং ন্যাটোর উপস্থিতি বাড়িয়ে ইরানের উত্তর সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়া হয়তো কৌশলগত কারণে এই প্রকল্পকে অসমর্থন জানায়, কিন্তু ইরান নিজের স্বার্থে তা প্রতিরোধ করবে, রাশিয়ার সহায়তা থাক বা না থাক। এছাড়া, আর্মেনিয়ার অগ্রণী নেতৃবৃন্দও এ পরিকল্পনার বিরোধিতা জানিয়েছেন এবং তাদের দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
এভাবে, ইরান ককেশাস করিডর প্রকল্পকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক ষড়যন্ত্র ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।