গাজায় ইসরাইলি অবরোধের কারণে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে, ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের জীবন। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, উপত্যকায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মারা গেছেন ৯৯ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্ক সতর্ক করে বলেছেন, গাজা পুরোপুরি দখলের ইসরাইলি পরিকল্পনা আরও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াবে এবং মানবিক দুর্ভোগকে তীব্র করবে। তিনি এই পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানান।
এদিকে ইসরাইলি সেনারা গাজা সিটির দারাজ ও তুফাহ এলাকার বাসিন্দাদের দক্ষিণের আল-মাওয়াসি অঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ বাসিন্দাদের ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত’ করার জন্য নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওই দুই এলাকায় অভিযানে হামাসের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত এবং একাধিক সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরাইল। তবে এ বিষয়ে হামাস কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা অনুমোদনের পর ইসরাইলে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি স্থগিত করেছে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এমন কোনো সামরিক সরঞ্জাম ইসরাইলে পাঠানো হবে না, যা গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ আগস্ট) গাজা সিটিতে নতুন করে আক্রমণ চালায় ইসরাইলি বাহিনী। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে নারী ও শিশুসহ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও নিশ্চিত করেছে।
ডেস্ক রিপোর্ট