শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি রূপ নেয় সংঘর্ষে:
পিটিআই নেতৃবৃন্দ এই দিনটিকে ‘ইমরান খানের মুক্তি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয় এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ডাক দেয়। লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদ, পেশাওয়ার, কোয়েটাসহ বড় বড় শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
তবে বিভিন্ন স্থানে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। লাহোরে আদালত চত্বরের সামনে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে। করাচিতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে কাঁটাতার ও ব্যারিকেড বসিয়ে জনগণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়েছে সমর্থকদের মাঝে:
সরকারি হিসাব মতে, দেশব্যাপী কমপক্ষে ২৪০ জনের বেশি পিটিআই নেতা-কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু লাহোরেই ১২২ জনকে “অবৈধ জমায়েত” ও “রাস্তা অবরোধের” অভিযোগে আটক করা হয়। বাকি গ্রেফতারগুলো হয় রাতভর পরিচালিত বিশেষ অভিযানে।
পিটিআই সূত্র জানায়, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন দলের নারী নেত্রী রেহানা দার, যিনি রাজপথে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।
পিটিআইর নতুন আন্দোলনের ঘোষণা:
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রতিবাদ ছিল তাদের “৯০ দিনের গণআন্দোলন”-এর অংশ। দলটির প্রধান নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, যতদিন না ইমরান খান মুক্তি পাচ্ছেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে, ততদিন এ আন্দোলন চলবে।
এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, “ইমরান খান একটি প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার। জনগণের নেতা হয়েও তিনি আজ জেলে বন্দি। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণ আর চুপ করে থাকবে না।”
সরকারের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া:
পাকিস্তান সরকার এই বিক্ষোভকে “জনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী ও বেআইনি” হিসেবে অভিহিত করেছে। নিরাপত্তা রক্ষার্থে নতুন একটি আধাসামরিক বাহিনী “ফেডারেল কনস্ট্যাবুলারি” গঠনের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে পিটিআইয়ের বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য ও নেতাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।