দৈনিক জনকণ্ঠের সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পত্রিকাটিকে ফ্যাসিবাদমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ থেকে একটি ৬ সদস্যবিশিষ্ট সম্পাদকীয় বোর্ডের মাধ্যমে পত্রিকাটির সম্পাদকীয় নীতি ও পরিচালনা নির্ধারণ করা হবে।
নতুন সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্যগণ:
১. জয়নাল আবেদীন শিশির (প্রধান সম্পাদক)
২. সাবরিনা বিনতে আহমদ(সম্পাদকীয় উপদেষ্টা)
৩. ইসরাফিল ফরাজী (নির্বাহী সম্পাদক)
৪. মির জসিম(বিশেষ প্রতিবেদক)
৫. ইরফানুল হক নাহিদ (প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে)
৬. আব্দুল্লাহ মজুমদার (প্রতিনিধি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে)
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ন্যায্যতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে দৈনিক জনকণ্ঠের কর্মীবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি পত্রিকাটির সম্পাদকীয় নীতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ও মতপ্রকাশের উপর নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠলে সকল স্তরের কর্মীদের সম্মিলিত আন্দোলনের ফলে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নতুন বোর্ডের প্রধান জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, "জনকণ্ঠ এখন সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত। আমরা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতি—সত্য, ন্যায্যতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব।"
১. রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে জনস্বার্থে খবর পরিবেশন।
২. সাংবাদিকদের অধিকার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও মেধার স্বীকৃতি নিশ্চিত করা।
৩. পাঠক মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এই সিদ্ধান্তকে "গণমাধ্যমের ইতিহাসে একটি মাইলফলক" বলে অভিহিত করেছে। মিডিয়া বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
উল্লেখ্য, জনকণ্ঠের সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়ে শনিবার (২ আগস্ট) পত্রিকাটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছিল।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছিল, আগস্ট উপলক্ষে স্বৈরাচারের দোসর জনকণ্ঠ পত্রিকা গতকাল কালো রঙ ধারণ করেছিল। তার প্রতিবাদে আমরা লাল রঙ দিয়ে আজ পত্রিকা বের করার কারণে জুলাই বিপ্লবের পক্ষে থাকা সব সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে পত্রিকার সম্পাদক শামিমা এ খান।
বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জনকণ্ঠের সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করছি। এরপরও যদি কেউ দায়িত্ব নিয়ে পত্রিকা বের করেন তাহলে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বের করবেন।
অফিসে অবস্থানকারীরা জানিয়েছিল, পত্রিকাটির অনলাইন এক্সেস চাকরিচ্যুত কর্মীদের হাতে রয়েছে। তারাই ফেসবুকে এ ধরনের পোস্ট করেছিলেন। পাশাপাশি তারা প্রতিষ্ঠানটির সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। আর ভেতরে অবস্থান করেছিলেন ৩০ জন সংবাদকর্মী।