বিশ্বব্যাপী ৩০-৭৯ বছর বয়সী প্রায় ১২৮ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। যার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বসবাস করছেন। ২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় আরো বলা হয়, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের প্রায় ৪৬ শতাংশ নিজেদের এ অবস্থা সম্পর্কে অবগত নন। এছাড়া যারা অবগত তাদের মধ্যে মাত্র ৪২ শতাংশ চিকিৎসা করান। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের একজন মাত্র চিকিৎসা করান। বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপ মৃত্যুর অন্যতম কারণ।
অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ একটি। ২০১০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ ৩৩ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ হলো যখন একজন ব্যক্তির রক্তনালিতে চাপ খুব বেশি (১৪০/৯০ মিমিএইচজি বা তার বেশি) থাকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা না হলে এটি গুরুতর হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের যেসব ঝুঁকি রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বার্ধক্য, বংশগত, অতিরিক্ত ওজন, শারীরিকভাবে কার্যক্ষম না থাকা, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিরা লক্ষণগুলো অনুভব নাও করতে পারেন। এটি জানার একমাত্র উপায় হলো রক্তচাপ পরীক্ষা করা। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, তামাক গ্রহণ না করা এবং হালকা ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। অনেকের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের প্রয়োজন হয়।
পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকিগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস (অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার, ফল ও সবজি কম খাওয়া), শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, তামাক ও অ্যালকোহল গ্রহণ এবং অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত রোগগুলোর জন্য পরিবেশগত ঝুঁকির কারণ রয়েছে, যেখানে বায়ুদূষণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
অপরিবর্তনীয় ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের পারিবারিক ইতিহাস, ৬৫ বছরের বেশি বয়স এবং ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগের মতো আরো কিছু রোগ।