‘বীর’-এ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা। ব্যক্তিগত পর্যায়ে রয়েছে জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা, পেনশন স্কিম ও বাড়ি নির্মাণ ঋণ। পরিবারের সদস্যদের জন্য রয়েছে নারী উদ্যোক্তা ঋণ, ক্ষুদ্র ও কুটির এবং কৃষি ঋণ।
‘বীর’ প্লাটফর্মের মাধ্যমে সাধারণ প্রবাসীরাও লাউঞ্জ, মিট অ্যান্ড গ্রিট এবং পিক অ্যান্ড ড্রপের মতো প্রিমিয়াম এয়ারপোর্ট সুবিধা পাবেন। যদিও এ সেবাগুলো সাধারণত করপোরেট বা ভিআইপি শ্রেণীর গ্রাহকরাই পেয়ে থাকেন।
শরিয়াহ ও প্রচলিত—উভয় পদ্ধতিতেই আমানত রাখা যাবে এ প্লাটফর্মে। মোট তিন ধরনের সেভিংস স্কিম নিয়ে এসেছে ‘বীর’। সঞ্চয়ী আমানত বা ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস)। মাসিক ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা কিস্তিতে ডিপিএস খোলার সুযোগ রয়েছে এ প্লাটফর্মে। আর ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা জমার মাধ্যমে পাওয়া যাবে মেয়াদি আমানতের সুবিধা। এছাড়া প্রফিট আর্নার্স স্কিম সেবাও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের হেড অব ইসলামিক ডিভিশন মুন্সী মো. আশফাকুল আলম বলেন, ‘যারা বিদেশে শ্রম দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরান, তাদের জন্য যদি সম্মানের ব্যবস্থা না করি, তাহলে কাদের জন্য করব? তাই আমরা প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ‘বীর’-এর মতো একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আর্থিক সেবা প্লাটফর্ম চালু করেছি।’
‘বীর’-এর মাধ্যমে প্রবাসীরা বাড়ি নির্মাণ, হজ ও ওমরাহ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি খামার বা নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে বিনিয়োগের জন্য তাদের জমার তিন গুণ পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন।
‘বীর’ প্লাটফর্মে রয়েছে শক্তিশালী বীমা সুবিধা। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে হাসপাতালে ভর্তি খরচ, আংশিক বা স্থায়ী অক্ষমতার ক্ষতিপূরণ, দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও মৃতদেহ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যয় এবং জরুরি প্রয়োজনে নির্ভরশীলদের সহায়তা।
বিদেশে কর্মরত প্রবাসীরা প্রায়ই আইনি ও কাগজপত্র-সংক্রান্ত জটিলতায় পড়েন। ‘বীর’ প্লাটফর্মে এসব সমস্যার সমাধানে আইনি ও নথি সহায়তা ইউনিট যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের। একই সঙ্গে প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য দেশে শিক্ষা সহায়তা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বৃত্তি কিংবা পরামর্শ সেবাও যুক্ত করা হবে এ প্লাটফর্মে।
শুধু আর্থিক নয়, বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে কমিউনিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নেটওয়ার্কিং প্রোগ্রাম আয়োজনেরও পরিকল্পনা রয়েছে এ প্লাটফর্মের। এতে করে প্রবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক সহানুভূতি বাড়ার পাশাপাশি নিজেকে এ প্লাটফর্মের অংশ হিসেবে ভাবতে পারবেন তারা।
‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার হামিদ বলেন, ‘প্রবাসীদের অর্থনৈতিক অবদান তো অনেকেই স্বীকার করে, কিন্তু আবেগগত অবদান? বীর সম্ভবত প্রথম উদ্যোগ, যা প্রবাসীদের সম্মানজনক সেবার মাধ্যমে সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন “বীর” হতে পারে সেই আদর্শ মডেল; যেখানে প্রবাসীদের প্রতি শ্রদ্ধাই সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।’