গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন শ্রমিক ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বেপজা জোন অফিসের সামনে অবস্থান নেন। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে যান চলাচল। তাই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। বেপজা কর্তৃপক্ষ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশসহ দফায় দফায় আলোচনার পর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সন্ধ্যা পর শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে চলে যায় বলে জানান ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জামির হোসেন জিয়া। শ্রমিকরা সকাল থেকে বেপজা জোন অফিসের সামনে জড়ো হয়ে ‘বেতন চাই, বাঁচতে চাই’ বলে স্লোগান দেয়। দীর্ঘসময় অবস্থান কর্মসূচির পর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বেপজা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জানান আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ নিয়ে আলোচনা হবে। তবে শ্রমিকরা এই আশ্বাস না মেনে বেপজা চত্বর থেকে মিছিল করে ফ্রি পোর্ট মোড়ে চলে যান এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে এয়ারপোর্ট সড়ক অবরোধ করেন। এতে করে আগ্রাবাদ থেকে পতেঙ্গা রোডে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, থিয়ানিস অ্যাপারেলসে ৬৯৩ জন শ্রমিক কর্মরত আছেন। তাদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ গত ২৬ জুন এবং ২ জুলাই বেতন দেওয়ার কথা বলেও দেননি। মে মাসের বেতন এখনও বাকি। জুন মাসও শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় শ্রমিকেরা চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। এর আগে গত ১৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত একই দাবিতে তিন দিনব্যাপী অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছিলেন শ্রমিকেরা। তাতে কোনও সুরাহা হয়নি।
এদিকে জানা গেছে, বর্তমানে কারখানাটিতে কোনো ওয়ার্কঅর্ডার নেই। উৎপাদনও বন্ধ। বেপজা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৩২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, আর কাস্টমসের পাওনা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। শ্রমিকদের মে ও জুন মাসের বেতন বকেয়া অবস্থায় আছে। এসব বিবেচনায় বেপজা কর্তৃপক্ষ ফ্যাক্টরিটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শ্রমিকদের দাবি বেপজা কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত হস্তক্ষেপ করে বকেয়া বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করে। ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জামির হোসেন জিয়া বলেন, ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সাথে বলে আলোচনার পর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শ্রমিকরা সন্ধ্যার পর সড়ক ছেড়ে চলে গেছে। বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা এর আগে আরো ৫/৬ বার সড়ক অবরোধ করেছেন। কারখানাটি অনেক দিন ধরেই বন্ধ।