সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধি সংশোধনের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে সংশোধিত বিধিমালা প্রকাশ করা হবে এবং এর পরদিনই সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিধি সংশোধনে নারী কোটা ও পোষ্য কোটা বাতিলসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সংশোধিত খসড়া ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুধু শিক্ষক নিয়োগ বিধিতেই নয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগবিধিতেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন নীতিতে দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতির সুযোগ না থাকা বেশ কিছু পদেও পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
নিয়োগের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সহকারী শিক্ষক (সংগীত) পদে ২ হাজার ৫৮৩ জন এবং সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) পদে আরও ২ হাজার ৫৮৩ জন নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সংশোধিত নীতিমালায় ৯৩ শতাংশ পদ মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে, বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ, এবং ১ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষক, যার মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭০ জন নারী শিক্ষক।