পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় অস্ত্রধারীদের হামলায় সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা এবং ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, নিহতরা একটি অভিযান শেষ করে ফেরার পথে হামলার শিকার হন। পাল্টা অভিযান চালিয়ে সেনারা টিটিপির ১৯ সদস্যকে নিহত করেছে। গোটা ঘটনায় শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
স্থানীয় সময় বুধবার খাইবার পাখতুনখোয়ায় আফগান সীমান্তবর্তী ওরাকজাই জেলায় সেনাবাহিনীর একটি গাড়িবহর লক্ষ্য করে বন্দুক ও বোমা হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। নিরাপত্তা সূত্রের খবর, টিটিপির সন্ত্রাসীরা পূর্বেই এলাকায় ওঁত পেতে ছিল এবং সেনাদের গাড়ি কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে গুলিবর্ষণ শুরু করে। হামলার কিছুক্ষণ পর সড়কে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে দুই কর্মকর্তাকে বহনকারী গাড়ি ধ্বংস হয়, আরেকটি গাড়িও হামলার আগে পড়ে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত সদস্যরা একটি অভিযানের পর ফেরার পথে ছিলেন, যেখানে তারা টিটিপির ১৯ সশস্ত্র সদস্যকে হত্যা করেছে। পাল্টা হামলার ঘটনায় সেনাদের গাড়িবহরকে লক্ষ্য করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ নিহত সেনাদের প্রতি শোক প্রকাশ করে নিরাপত্তা বাহিনীর সাহসিকতা ও ত্যাগের প্রশংসা করেছেন। গত কয়েক মাস ধরে আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়ায় এবং বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান সরকার দাবি করে থাকে, ভারতের অর্থায়নে আফগানিস্তান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালাচ্ছে, যদিও কাবুল এবং নয়াদিল্লি এই অভিযোগ কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।