ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫ , ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হামাস চায় তুর্কি সেনাবাহিনী গাজার নিরাপত্তার 'গ্যারান্টি' — ইসরায়েল রাজি নয় বাংলাদেশের পরিকল্পনা: ২০টি চীনা জে-১০ যুদ্ধবিমান কিনতে ২.২ বিলিয়ন ডলার ইসরায়েল সমালোচনায় কার্কের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ লবি গাজা যুদ্ধের দুই বছর: ভেতর থেকে ভেঙে পড়ছে ইসরায়েল সিরিয়ার স্থিতিশীলতা আঞ্চলিক শান্তির চাবিকাঠি: GCC-ইইউ ইউক্রেনের অস্ত্র ক্রয়ে ১২৯ মিলিয়ন ডলারের অডিট ফাঁস ট্রাম্পকে চীনকে থামাতে পারলে নোবেলের যোগ্য—তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট ভারতীয় যুদ্ধবিমানে ‘Shabaz’ ও ‘Rafiqui’ কল সাইন, পাকিস্তানকে বার্তা ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার মাদুরোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ইসরায়েলের ১৪৫ মিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল প্রচারণা যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্রের ৪১.৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র রপ্তানি অনুমোদন তুরস্কের নিষেধাজ্ঞায় ইরানের কড়া প্রতিক্রিয়া উচ্চ পাহাড়ে ভারতীয় সেনার আর্টিলারি মহড়া তুরস্কের ‘IŞIK’ লেজার সিস্টেমের সফল পরীক্ষা গাজায় ফেরার পথে পরিবারসহ ফিলিস্তিনি নিহত সুদানে আরএসএফের রাসায়নিক গ্যাস হামলার অভিযোগ রাশিয়ার ফ্রিজ করা অর্থ দিয়ে ইউক্রেনকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের THAAD প্রতিরক্ষা ঘাঁটি বাড়ল রাশিয়ার নতুন ফাইবার-অপটিক ড্রোন হামলা ইউক্রেনে সিরিয়ার মানবিজে কুর্দি বাহিনী ও তুর্কি-সমর্থিত সেনাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ

সমন্বয়হীনতায় বন্ধ খুলনা শিশু হাসপাতাল, কোটি টাকার প্রকল্প শেষ হয়েও কার্যক্রম শুরু হয়নি

  • আপলোড সময় : ০৯-১০-২০২৫ ১০:২৬:১১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-১০-২০২৫ ১০:২৬:১১ পূর্বাহ্ন
সমন্বয়হীনতায় বন্ধ খুলনা শিশু হাসপাতাল, কোটি টাকার প্রকল্প শেষ হয়েও কার্যক্রম শুরু হয়নি ছবি সংগৃহীত

খুলনায় নির্মিত ২০০ শয্যার বিভাগীয় শিশু হাসপাতালটি এক বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখনো চালু হয়নি। নাগরিক সমাজের অভিযোগ, প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে কোটি টাকার এই প্রকল্প চালু না হয়ে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালটি না খোলায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার শিশুরা বিশেষায়িত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

২০১৭ সালে অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপে ১১৪ কোটি টাকায় ৫ তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়, যা শেষ হয় ২০২৪ সালের জুনে। খুলনা সিটি বাইপাস সড়কের পাশে কৃষ্ণনগর এলাকায় ৪ দশমিক ৮০ একর জমিতে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে রাস্তা, ড্রেন, সাবস্টেশন ও রান্নাঘরসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।
 

তবে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে বারবার মেয়াদ বাড়ানোর পর প্রকল্পটি কাগজে-কলমে ‘সমাপ্ত’ দেখানো হলেও কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। বর্তমানে ভবনের ৫ তলা পর্যন্ত কাজ শেষ, তবে সীমানাপ্রাচীর ও প্রধান ফটকে গেট না থাকায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গবাদি পশু অবাধে বিচরণ করছে এবং এলাকাটি অপরিষ্কার হয়ে পড়েছে।
 

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান জানান, ভবনটি জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তরের জন্য তিনবার চিঠি দেওয়া হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে খুলনা সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজা খাতুন জানিয়েছেন, সীমানাপ্রাচীর ও গেট না থাকায় হাসপাতালটি অরক্ষিত এবং আরও কিছু সমস্যার কারণে এখনো গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
 

প্রকৌশলী কামরুল হাসান আরও জানান, ভবনের বাকি অংশ—৬ষ্ঠ থেকে ১০ম তলা, বাউন্ডারি ওয়াল, ড্রেন, রাস্তা, মেইন গেট, নার্স ও স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণে নতুন করে ৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে এসব কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
 

খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান বলেন, “শিশুদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতার কারণে এমন অবস্থা অগ্রহণযোগ্য। আমরা দ্রুত হাসপাতালটি চালুর দাবি জানাচ্ছি।”
 

হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় সরকারি সম্পদের অপচয় ও শিশুস্বাস্থ্যসেবায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : স্টাফ রিপোর্টার, ডেস্ক-০৬

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
যানজটে আটকা পড়ে মোটরসাইকেলে চড়লেন সড়ক উপদেষ্টা, দায় দিলেন ট্রাফিক অব্যবস্থাপনাকে

যানজটে আটকা পড়ে মোটরসাইকেলে চড়লেন সড়ক উপদেষ্টা, দায় দিলেন ট্রাফিক অব্যবস্থাপনাকে