কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী তার বাসায় ঢুকে চারজন সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন, পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনাটি শুক্রবার রাত লিংকরোড বিসিক শিল্প এলাকায় ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায় যে, দুইটি মোটরসাইকেলে সংস্কৃত চারজন উগ্র ব্যক্তি এসে নির্দিষ্টভাবে লিয়াকত আলীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদের কারণে স্থানীয় সন্ত্রাসী আবদুল খালেকের নেতৃত্বে এই আক্রমণ পরিকল্পিত।
বিএনপি সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল্লাহ নুর জানান, লিয়াকত আলী দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজির বিরোধিতায় সোচ্চার ছিলেন, যা সন্ত্রাসীদের বিরক্ত করেছে। পাশাপাশি হামলাকারীরা লিয়াকত আলীর সঙ্গে বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে পুরোনো সংকট রয়েছে। প্রাক্তন ঘটনাতেও গুলিতে আবদুল খালেকের স্ত্রীর মৃত্যু ঘটেছিল।
হামলার সময় লিয়াকত আলীর বাসার এক নিরাপত্তাকর্মী পায়ের রগ কেটে আহত করা হয়, যাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলার প্রতিবাদে এলাকার বিএনপি ও যুবদল কর্মীরা লিংকরোড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ পরিচালনা করে, যা এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। তারা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান শুরু করেছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি এবং মামলা দায়ের হয়নি। পুলিশ ঘটনাটির পেছনে প্রভাবিত কারণ তদন্ত করছে।
এই হামলার ঘটনাটি স্থানীয় রাজনৈতিক উত্তেজনা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার নেতৃত্বের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ইঙ্গিত দেয়, যা এলাকার সামাজিক নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।