ইসলামে জুমুআর দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন বলা হয়েছে। এ দিনকে আল্লাহ তা'আলা মুসলমানদের জন্য বরকতময় ও বিশেষ ইবাদতের সময় হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। কুরআন ও হাদিসে জুমুআর দিনের দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায়।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন—
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ
“হে ঈমানদারগণ! যখন জুমুআর দিনে নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ছেড়ে দাও।” (সূরা জুমু’আ: ৯)
এ আয়াতে জুমুআর দিনের গুরুত্ব প্রকাশ পেয়েছে। আল্লাহর স্মরণ, ইবাদত এবং দোয়া এ দিনের বিশেষ আমল।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
“জুমুআর দিনে একটি সময় আছে, যে মুসলমান বান্দা সেই সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, আল্লাহ তা কবুল করবেন।”
(সহিহ বুখারি: ৯৩৫, সহিহ মুসলিম: ৮৫২)
অন্য হাদিসে এসেছে, সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, সেই বিশেষ সময় কোনটি? রাসূল ﷺ ইশারা করে বললেন, “আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।”
(আবু দাউদ: ১০৪৮, তিরমিজি: ৪৮৯)
শিক্ষণীয় বিষয়-
> জুমুআর দিনে দোয়া কবুল হওয়ার একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে।
> আলেমদের মতে, সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় হলো আসরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
> এ সময়ে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা মুস্তাহাব।
জুমুআর দিন হলো রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের দিন। এ দিনের বিশেষ সময়গুলোতে মনোযোগসহকারে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। তাই আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টিকে দোয়ার জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।