জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে একে একে পদত্যাগ করেছেন দুই নির্বাচন কমিশনার। শুক্রবার ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি মাফরুহি সাত্তার দায়িত্ব ছাড়েন। শনিবার নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রতিনিধি ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তাদের পদত্যাগ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কিছু মানুষের দাবির কারণে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হয়েছে। এ কারণে ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হয়। অথচ যারা প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তারাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যদি ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি থাকে তবে ভোটগ্রহণের দিনই কেন পদত্যাগ করা হয়নি?
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি বলেন, ভোট গণনার কাজে একাধিক শিক্ষক যুক্ত ছিলেন এবং তা সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, “কারচুপি বা জাল ভোট প্রমাণ করা গেলে আমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব, এমনকি পেনশনের অর্থও নেব না।”
মনিরুজ্জামান জানান, প্রতিটি হলে কয়েক ধাপে ভোটার যাচাই করা হয়েছে, যেখানে প্রার্থীদের এজেন্ট, পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ ও জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়েছে। তার ভাষায়, “সবার সামনেই ভোট হয়েছে, আর কেউ আমাকে কারচুপির অভিযোগ আনেনি।”