চুপ থাকলে দমনকারীর সাহস আরও বাড়ে—মার্কিন শুল্ক নীতিকে লক্ষ্য করে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘দমনকারী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, দেশটি সবসময় মুক্ত বাণিজ্য থেকে লাভবান হলেও এখন শুল্ককে দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) তিনি স্পষ্ট করেন, চীন ভারতের পাশে থাকবে, কারণ ভারত ও চীন এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুই শক্তিশালী ইঞ্জিন। তাঁর ভাষায়, “যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসিয়েছে এবং আরও আরোপের হুমকি দিচ্ছে। চীন এর দৃঢ় বিরোধিতা করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মুখে নীরব থাকা মানে দমনকারীর সাহস বাড়ানো। চীন ভারতের সঙ্গে থেকে বহুপাক্ষিক বাণিজ্যব্যবস্থাকে রক্ষা করবে।”
রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, বৈশ্বিক ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসছে। ফলে প্রধান উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারত ও চীনের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা জরুরি। তাঁর মতে, চীন-ভারতের বন্ধুত্ব শুধু এশিয়ার নয়, পুরো বিশ্বের কল্যাণ বয়ে আনবে।
এদিকে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ভারত-চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ির নয়াদিল্লি সফরের পর কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উভয় পক্ষ যত দ্রুত সম্ভব চীনের মূল ভূখণ্ড ও ভারতের মধ্যে বিমান যোগাযোগ চালু করতে এবং একটি হালনাগাদ বিমান পরিষেবা চুক্তি সম্পন্ন করতে সম্মত হয়েছে। এছাড়া পর্যটক, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন ধরনের দর্শনার্থীর ভিসা প্রদান সহজ করার দিকেও একমত হয়েছে দুই দেশ।