তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে কার্যকর একটি বিশেষায়িত আজুর সিস্টেমে এসব কল ডেটা জমা রাখা হচ্ছে। সাধারণ ক্লাউড অবকাঠামোর বাইরে গড়ে ওঠা এই সিস্টেম প্রতি ঘণ্টায় প্রায় দশ লাখ ফোনালাপ প্রক্রিয়া করতে সক্ষম। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত এখানে জমা হয়েছে প্রায় ১১,৫০০ টেরাবাইট তথ্য।
গোয়েন্দা কার্যক্রম শুধু সংরক্ষণেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; ফোনালাপ বিশ্লেষণ করে বিমান হামলার পরিকল্পনা, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং গ্রেপ্তারের যৌক্তিকতা তৈরিতেও এই তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
খবরে আরও জানা যায়, ইসরায়েলে কর্মরত কিছু মাইক্রোসফট কর্মী এ কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোম্পানি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু নিশ্চিত করেনি।
এ ঘটনায় মাইক্রোসফট এখন দ্বিধার মুখে। একদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে করা আইনি প্রতিশ্রুতি, অন্যদিকে কর্মী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চাপ—যারা অভিযোগ তুলছে যে প্রতিষ্ঠানটি “মানবাধিকার লঙ্ঘনে সহযোগী” হয়ে উঠছে।