বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে জলকপাট সাড়ে তিন ফুট করে খোলা হয়। এর ফলে হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে স্পিলওয়ের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হচ্ছে।
একইসঙ্গে, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট সক্রিয় রয়েছে। এসব ইউনিটের মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নদীতে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নির্গমন হচ্ছে।
এর আগে ধারাবাহিকভাবে বাঁধের জলকপাট বিভিন্ন সময়ে খোলা হয়েছে:
প্রথম দফা: সোমবার মধ্যরাতে ৬ ইঞ্চি
দ্বিতীয় দফা: মঙ্গলবার মধ্যরাতে দেড় ফুট
তৃতীয় দফা: বুধবার দুপুর ১টায় আড়াই ফুট
চতুর্থ দফা: বুধবার রাত ১১টায় ৩ ফুট
পঞ্চম দফা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাড়ে তিন ফুট
মাহমুদ হাসান জানান, হ্রদের পানি বেড়েই চলেছে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় জলকপাট আরও খুলে দেওয়া হতে পারে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে হ্রদের পানির স্তর দাঁড়িয়েছে ১০৮.৮০ এমএসএল, যেখানে সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বর্তমানে ৫টি ইউনিটে মোট ২১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।