মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ময়নাতদন্তের সুযোগ থাকলেও তাঁর পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তাঁর ফুফাতো বোন ডা. নজিবুন নাহার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করার প্রস্তুতি নেয়া হলেও, তবে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসারে প্রয়োজন হলে ময়নাতদন্ত হতে পারে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রোববার বিকেল ৫টার দিকে হারুন-অর-রশিদ চট্টগ্রাম ক্লাবে ওঠেন। আজ সকালে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁর সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে। তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশিদ সম্প্রতি ডেসটিনি গ্রুপ সংশ্লিষ্ট মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকায় থেকে চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন। জানা গেছে, তিনি চট্টগ্রাম ক্লাবে অবস্থান করছিলেন। রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ার পর আর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
সেনাবাহিনীতে তার দীর্ঘ কর্মজীবনে উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন ডিজিএফআই (Director General of Forces Intelligence) প্রধান, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, ওয়েস্ট জোন জিওসি এবং ২০০০ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে দেশের সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরিবারের ইচ্ছায় মরদেহ দ্রুত দাফনের প্রস্তুতি নেয়ার কারণে ময়নাতদন্ত অনুষ্ঠিত হবে না। তাঁর মৃত্যু ঘটনায় কোন নির্দিষ্ট কারণ এখনও প্রকাশিত হয়নি এবং প্রয়োজনে তদন্তে বিস্তারিত পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য,হারুন-অর-রশিদ ছিলেন সেনাবাহিনীর ২৪তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী। ১৯৭০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। তবে শুরুতে ইঞ্জিনিয়ার কোরে যেতে চাইলেও কোম্পানি কমান্ডারের পরামর্শে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সেনা ক্যারিয়ারে তিনি কুমিল্লার ৪র্থ ইবিআর-এ প্রথম পোস্টিং পান।