চিঠিটিতে জুলাই সনদের নামে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও সরকারবিরোধী বক্তব্য থাকায় পুলিশ এটিকে "সাইবার অপরাধ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি" হিসেবে চিহ্নিত করেছে ।
চিঠিটিতে দাবি করা হয়েছিল যে জুলাই সনদ ইতিমধ্যে গণভোট বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এটি একটি "গণবিচ্ছিন্ন সরকারের ষড়যন্ত্র"।
ফেসবুক, টুইটার ও টেলিগ্রামে জাল সীল ও স্বাক্ষর সম্বলিত এই ডকুমেন্ট শেয়ার করা হয়।
পিআর-এর সাইবার ক্রাইম ইউনিট ভুয়া চিঠিটি ট্র্যাক করে জানায়, এটি বিদেশি একটি আইপি ঠিকানা থেকে এটি প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ সন্দেহ করছে, এটি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে ।
পিআর- এর পক্ষ থেকে জনগণকে এমন চিঠি শেয়ার বা বিশ্বাস না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভুয়া তথ্য ছড়ানোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও সাইবার ক্রাইম আইনে মামলা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে, জুলাই সনদ এখনো চূড়ান্ত হয়নি এবং এটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনাধীন রয়েছে ।
বিএনপি ও জামায়াত ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে "প্রোপাগান্ডা" বলে আখ্যায়িত করেছে ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ভুয়া তথ্য গণঅস্থিরতা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যখন জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক অসম্মতি চলছে।