গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি ২৫ আগস্ট থেকে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। প্রায় ১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প। এটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ও কুড়িগ্রামের চিলমারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে, যা দুই জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ সৃষ্টি করবে।
সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় এবং চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিসি গার্ডারের নির্মাণে সেতুটিতে বসানো হয়েছে ৩১টি স্প্যান। রং ও লাইটিংসহ অবকাঠামো এখন নয়নাভিরাম চেহারা নিয়েছে। প্রতিদিন সেতুটি এক নজর দেখতে ভিড় করছেন মানুষ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেতুটির কারণে নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ায় নদী ভাঙন বন্ধ হয়েছে। এর ফলে কুড়িগ্রাম, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরাঙ্গামারী ও চিলমারী হয়ে ঢাকায় যাতায়াতের সময় প্রায় ৪ ঘণ্টা কমে যাবে। এছাড়া গাইবান্ধার সঙ্গে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ তিস্তার ওপারের অন্যান্য জেলার দূরত্বও কমে আসবে। সেতুটি দুই পাড়ের মানুষের জীবনমান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সেতুর পাশাপাশি প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার নদী শাসন এবং ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।
২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি এ সেতুর ফলক উন্মোচন করা হলেও নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। মোট ব্যয় হয়েছে ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।