খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় ‘বদ্ধ’ দেখিয়ে শত শত সরকারি খাল ও জলমহাল ইজারা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয়দের মৎস্য ও কৃষিকাজ। শুধু এই একটি জলমহালই নয়, বিভিন্ন উপজেলায় এমন আরও ১৯৮টি জলমহাল সরকারিভাবে ইজারা দেয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের তথ্যে জানা গেছে।
জানা যায়, খালগুলোতে নিয়মবহির্ভূতভাবে বসানো হচ্ছে নেট-পাটাতন ও বাঁধ, যা বাধা সৃষ্টি করছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে। এতে একদিকে যেমন মাছ ধরতে পারছেন না সাধারণ জেলেরা, অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় পানি মিলছে না জমিতে। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষক ও মৎস্যজীবীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, খুলনার পাইকগাছার লতা ইউনিয়নের অন্তত পাঁচটি গ্রামের মানুষের জীবিকা এক সময় নির্ভর করত স্থানীয় একটি সরকারি খালের ওপর। খালটি গয়সা ও পোদা নদীর সঙ্গে যুক্ত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খালটিকে ‘বদ্ধ’ দেখিয়ে তা ইজারা দেয়া হয়। পরে খালের মুখসহ একাধিক স্থানে বসানো হয় পাটাতন ও জাল। বর্ষায় পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, আর শুষ্ক মৌসুমে খালে পানি না থাকায় চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে পানির অভাবে।