বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন—‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘যুবদলের অনেক গুণ, পাথর মেরে মানুষ খুন’, ‘আমার ভাই খুন কেন? তারেক রহমান জবাব দে’, ‘বিএনপি চাঁদাবাজ, চাঁদা তোলে পল্টনে, ভাগ যায় লন্ডনে’—ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্যবসায়ী সোহাগকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা নিন্দনীয়। তারা চাঁদাবাজি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির মতো একটি বড় দলের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশিত নয়।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “৫ আগস্টের পর আমরা চেয়েছিলাম সাম্য, শান্তিপূর্ণ এবং চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বাংলাদেশ। কিন্তু এখন চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে আবার জুলাই আন্দোলন হবে।”
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নূর নবী বলেন, “মিটফোর্ডে যে পাথর মারা হয়েছে, তা আমার বুকের ওপর পড়েছে মনে হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে যেমন বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়েছিল, তেমনই ঘটনা আবার ঘটেছে।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস চেয়েছিলাম। কিন্তু সহযোদ্ধাদের মারলে আমরা চুপ থাকব না। প্রয়োজনে আবার জুলাই আন্দোলন গড়ে তুলব।”