পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, সকালে মোহাম্মদপুরের প্রবর্তনা অফিসের সামনে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ওই স্থানে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনার কর্মীরা।
একই সময়ে ধানমন্ডির দুটি স্থানে এবং মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আরও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। সন্ধ্যার দিকে মৌচাক, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর ১০ ও খিলগাঁওয়ে বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া বাড্ডা, শাহজাদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় যাত্রীবাহী তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, ফলে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আতঙ্ক সৃষ্টি ও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতেই এসব অপতৎপরতা চালানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “বিশেষ কোনো কর্মসূচি বা রাজনৈতিক ঘটনার সঙ্গে এসব বিস্ফোরণের সম্পর্ক আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।”
রাজধানীজুড়ে এখন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে বলে জানা গেছে।
ডেস্ক রিপোর্ট