বুধবার (৫ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আয়ারল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের প্রথম পুলিশ ন্যায়পাল ব্যারোনেস নুয়ালা ও'লোন। এ সময় তারা বাংলাদেশে পুলিশ বিভাগের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে আয়ারল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার প্রস্তাব দেন।
ব্যারোনেস ও'লোন ১৯৯৮ সালের ঐতিহাসিক গুড ফ্রাইডে চুক্তির পর সাত বছর নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের পুলিশ ন্যায়পাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশটির সংঘাত-পরবর্তী সময়ের পুলিশ সংস্কার ও জনআস্থা পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সাক্ষাৎ শেষে ব্যারোনেস ও'লোন বলেন, “অন্তর্ভুক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডের সংঘাত-পরবর্তী অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য কার্যকর দৃষ্টান্ত হতে পারে। আমরা এখানে টেকসই পরিবর্তনের জন্য বাস্তবসম্মত সময়সীমা নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করতে এসেছি।”
বৈঠকে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ইউনিটের পরিচালক ফিওন্নুয়ালা গিলসেনান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুকও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আয়ারল্যান্ডের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমাদের চলমান রূপান্তর যেন শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক থাকে তা নিশ্চিত করতে আয়ারল্যান্ডের সহযোগিতা অত্যন্ত মূল্যবান।”
এ সময় বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে পড়া রোধে আয়ারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি বলেন, “আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশে সংস্কার, শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জোরদারে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী। উভয় দেশই শান্তি, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।”
ডেস্ক রিপোর্ট