আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব বাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদফতর। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। তার মতে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তৈরি করা ৯টি প্রশিক্ষণ মডিউলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
দেশের প্রায় ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্যও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন—যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র ও ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ৩৩ হাজার সদস্য (১,১০০ প্লাটুন) ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করবেন বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় “স্ট্রাইকিং ফোর্স” হিসেবে মাঠে থাকবে।
গত শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন তিন বাহিনীর প্রধানরা। বৈঠকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতির নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
নির্বাচনকালীন নিরাপত্তায় ৯০ হাজার সেনা, আড়াই হাজার নৌবাহিনী ও দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা সদস্য দায়িত্বে থাকবেন বলে জানা গেছে।
ডেস্ক রিপোর্ট