পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর দুপুর আড়াইটায় চমেক হাসপাতালের গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. ফাহমিদা ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলাস্থ ৩৩নং গাইনী ওয়ার্ডের ক্লাস রুম ক্লাস শেষে তালাবদ্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ৮ অক্টোবর সকাল ১০ টায় ডা. ফাহমিদা ইসলাম চৌধুরী উক্ত ৩৩নং গাইনী ওয়ার্ডে ক্লাস রুমের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পান যে, উক্ত ক্লাস রুমে রক্ষিত সরকারি মালামাল ১টি ডেল মনিটর, যার মূল্য ১২ হাজার টাকা, ১টি স্যামসাং মনিটর, যার মূল্য ১৫ হাজার টাকা, ১টি কালো রংয়ের সাউন্ড সিস্টেম, যার মূল্য ৩৫ হাজার টাকা, ১টি ১০০ মডেলের ওয়ারলেস মাইক্রো ফোন রিসিভার, ২টি ১০০ মডেলের মাইক্রো ফোন, ১টি প্রজেক্টর, ১টি এডাপ্টার, ১টি পাওয়ার ক্যাবল, ১টি ভিজিএ ক্যাবল, ১টি মাউস, ১টি কী–বোর্ড, এবং সরকারি ওষুধ সামগ্রী– ১ বঙ ক্লিভেন–৬০, ৩০টি সার্জিক্যাল ব্লেড যথাস্থানে নাই। পরবর্তীতে ডা. ফাহমিদা ইসলাম চৌধুরী উক্ত বিষয়টি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে এবং হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলার ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার মো. কামরুজ্জামানকে অবহিত করেন। তখন ওয়ার্ড মাস্টার মো. কামরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা উক্ত ক্লাস রুমে গিয়ে সরকারি মালামাল ও ওষুধ সামগ্রী দেখতে না পেয়ে পাঁচলাইশ থানায় এজাহার দাখিল করেন। বাদী ওয়ার্ড মাস্টার মো. কামরুজ্জামানের এজাহারের প্রেক্ষিতে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা রুজু করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আশরাফ উদ্দিন সরদার ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আসামিদের শনাক্ত করেন এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।