লক্ষ্মীপুর-রায়পুর-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে বেহাল অবস্থায় পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও খানা-খন্দ তৈরি হওয়ায় যান চলাচল প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন হাজারো যানবাহন ও যাত্রী জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সময় অপচয় ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, রায়পুরের বর্ডার বাজার থেকে লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩৯ কিলোমিটার সড়কের ইট খোয়া উঠে গেছে, ভেঙে পড়েছে সড়কের সোল্ডার। এ কারণে বড় বড় যানবাহন হেলেদুলে চলাচল করছে, ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো হয়ে উঠছে বিপজ্জনক। যাত্রীরা বলছেন, যেখানে আগে ৪০ মিনিটে যাতায়াত করা যেত, এখন তা পার হতে লাগে দুই ঘণ্টা। এতে গাড়ি নষ্ট হচ্ছে, যাত্রীদের বাড়ছে দুর্ভোগ।
গত সপ্তাহে সড়কের বেহালদশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চন্দ্রগঞ্জ বাজার এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস খালে পড়ে ৫ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হন। এর আগে একই এলাকায় দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটি এখন ‘মরণফাঁদে’ পরিণত হলেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না।
চালক ও যাত্রীরা বলছেন, এ সড়ক ব্যবহার করা এখন বাধ্যবাধকতায় পরিণত হয়েছে। বিকল্প পথ না থাকায় জীবন ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এ অবস্থায় দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম স্বীকার করেছেন, চার লেন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এখনো বড় কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, কার্যাদেশ পেলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
এই সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম, ভোলা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন।