১. জুমার নামাজের ফজিলত
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি জুমার নামাজ ধারাবাহিকভাবে আদায় করে, আল্লাহ তাকে সপ্তাহের অপরাধ থেকে মুক্তি দেবেন।”
(সহীহ মুসলিম)
নামাজ শুধু রোজকার ইবাদত নয়, এটি মানুষের মন ও ইমানকে শক্তিশালী করে।
২. সূরা কাহাফ পাঠের গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করে, আল্লাহ তার জন্য আলো প্রদান করবেন আগামী সপ্তাহের জন্য।”
(সহীহ হাদিস)
সূরা কাহাফ পাঠ করা জীবনের বিপদ ও চ্যালেঞ্জ থেকে রক্ষা দেয়।
৩. দোয়া ও যিকরের গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“জুমার দিনে অনেক দোয়া করুন, কারণ এই দিনে এক মুহূর্ত আছে, যে মুহূর্তে আল্লাহ চাইলে কোনো মু’মিনের দোয়া প্রত্যাখ্যান করবেন না।”
(সহীহ বুখারি)
এই দিনে বেশি বেশি দোয়া ও যিকর করা অত্যন্ত বরকতময়।
৪. জান্নাতের জন্য বিশেষ সুযোগ
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“জুমার দিনে যে ব্যক্তি শুক্কুরপূর্ণ মন নিয়ে নামাজ ও আমল করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের এক বিশেষ স্থান দিবেন।”
(সহীহ হাদিস)
এটি মুসলমানদের জন্য জান্নাতের প্রতিশ্রুতি এবং নৈতিক উন্নতির পথ।
জুমা শুধু সপ্তাহের একটি দিন নয়, বরং এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ আত্মিক উন্নতি ও আল্লাহর নিকট সওয়াব অর্জনের জন্য। নামাজ আদায়, কুরআন পাঠ ও দোয়া-যিকর জীবনের দৈনন্দিন চাপ ও সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং মনকে আলোকিত করে। প্রতিটি মুসলিমকে উচিত এই দিনটি যথাযথভাবে উপভোগ করা এবং সর্বোচ্চ ফজিলতের জন্য ইবাদতে নিয়োজিত থাকা।