রোববার (১৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সামনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও সিআইসি মহাপরিচালক আহসান হাবিব। এ সময় জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে পাঁচটি দেশের সাতটি শহরে অনুসন্ধান চালানো হয়। এর মধ্যে অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, অস্ট্রিয়া, ডমেনিকা, গ্রেনেডা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, নর্থ মেসিডোনিয়া, মালটা, সেন্ট লুসিয়া ও তুরস্কে বাংলাদেশিদের নামে অবৈধ সম্পদ শনাক্ত করা হয়েছে।
সিআইসির তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ৩৪৬টি সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে, যা অনুসন্ধানের একটি অংশমাত্র। সংস্থাটি জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করে এসব সম্পদ দেশের অনুকূলে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ছয়টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা সহযোগিতা করছে।
প্রধান উপদেষ্টা সভায় বলেন, অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে দুদক, সিআইসি ও পুলিশের সিআইডির সমন্বয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এমন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করার সাহস না পায়।
তিনি আরও বলেন, দেশের সম্পদ লুটপাটকে ভয়াবহ দেশদ্রোহিতা হিসেবে দেখতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দায়ীদের কঠোর আইনি জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সিআইসিকে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে অন্যান্য দেশেও কার্যক্রম বিস্তৃত করার নির্দেশ দেন তিনি।