ড. আসিফ নজরুল লিখেছেন, শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি রোগী হিসেবে ইতিবাচক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি অন্যদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চিকিৎসকদের নিয়ে কিছু সমালোচনা তুলে ধরেছিলেন। তবে বক্তব্যের মূল অংশে তিনি পরিষ্কার করেছিলেন যে অভিযোগগুলো সব চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট অংশের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। কিন্তু পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের সময় বিষয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে প্রতিফলিত হয়নি।
তিনি বলেন, এতে অনেকের কাছে মনে হতে পারে যে তিনি ঢালাওভাবে সব ডাক্তারদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, যা সঠিক নয়। দেশে অসংখ্য চিকিৎসক নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতার সঙ্গে রোগীদের সেবা করছেন—তাদের প্রতি তার সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সীমিতসংখ্যক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
এর আগে শনিবারের অনুষ্ঠানে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, দেশের কিছু চিকিৎসক কি রোগীদের স্বার্থের পরিবর্তে ওষুধ কোম্পানির স্বার্থকে প্রাধান্য দেন? তিনি সমালোচনা করেছিলেন যে অনেক বড় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের জন্য ডাক্তারদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিশেষ সময় বরাদ্দ থাকে, যা অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না।
এই বক্তব্যের পর চিকিৎসক মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম ও জাতীয় নাগরিক পার্টি পৃথক বিবৃতিতে ড. আসিফ নজরুলের মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।