ড. ইউনূস বলেন, মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিল, আর তিনি শুধু সেই পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করছেন। তার ভাষায়, “এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, যারা পরিবর্তন চান তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আমি কেবল তাদের পথ সহজ করতে কাজ করছি।”
দায়িত্ব পালনে নানা প্রতিবন্ধকতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ইউনূসের দাবি, রাজনৈতিকভাবে বিতাড়িত কিছু গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে গত দেড় দশকে নতুন ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেক তরুণ প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, যা দেশের জন্য বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, ফলে সংকট আরও জটিল হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল বন্ধ হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি এবং জানান, আসন্ন কয়েক মাসে কক্সবাজার, জাতিসংঘ সদর দপ্তর ও দোহায় তিনটি আন্তর্জাতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়া সফরকালে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ব্যবসা ও প্রযুক্তি খাতে একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনূস। এছাড়া স্থানীয় ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সফর শেষে বুধবার রাতে তিনি দেশে ফেরেন।