খসড়ায় সনদের পটভূমি, রাজনৈতিক সংস্কার সংক্রান্ত আলোচ্য বিষয় এবং বাস্তবায়নের জন্য আটটি অঙ্গীকারনামা যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা পুনর্গঠন, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে পরিবর্তন, দুর্নীতি দমন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা।
এখানে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এবং ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানকালীন অভিজ্ঞতা আইনি কাঠামোর বাইরে থেকেও রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে বৈধতা পেয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ঘটেছে, যা “জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫”–এর মাধ্যমে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে।
অঙ্গীকারনামায় দলগুলো একমত হয়েছে যে জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র সুসংহতকরণ এবং অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের মর্যাদা প্রদানের পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া সংবিধান ও বিদ্যমান আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে সনদের প্রতিটি প্রস্তাব ও সুপারিশ বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, জুলাই জাতীয় সনদ সম্পর্কিত কোনো প্রস্তাবের বৈধতা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন বা নতুন আইন প্রণয়ন অবিলম্বে শুরু হবে। বিশেষভাবে বলা হয়েছে, যে সকল সুপারিশ অতি দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই কার্যকর করতে হবে।