পদোন্নতির বিস্তারিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, উপসচিব পদে ১৪১ জন, যুগ্মসচিব পদে ৪২৪ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ১৪৯ জন, গ্রেড-১ পদে ২৬ জন এবং সচিব বা সিনিয়র সচিব পদে ৪৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেয়েছেন যথাক্রমে উপসচিব পদে ৪ জন, যুগ্মসচিব পদে ৭২ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, গ্রেড-১ পদে ৪১ জন এবং সচিব পদে ১১৯ জন।
অবসরপ্রাপ্তদের তালিকাও ছিল বিস্তৃত। স্বাভাবিক নিয়মে অবসর নিয়েছেন ১৬৪ জন কর্মকর্তা—যার মধ্যে রয়েছেন ১৬ জন উপসচিব, ১৫ জন যুগ্মসচিব, ৭৫ জন অতিরিক্ত সচিব, ৩৪ জন গ্রেড-১ কর্মকর্তা এবং ২৪ জন সচিব বা সিনিয়র সচিব। অন্যদিকে, বাধ্যতামূলক অবসরের তালিকায় আছেন ২৯ জন—যাদের মধ্যে অধিকাংশ অতিরিক্ত সচিব পদে কর্মরত ছিলেন।
প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, বিগত এক বছরে তিনটি অধ্যাদেশ এবং তিনটি বিদ্যমান বিধিমালায় সংশোধনী আনা হয়েছে। পাশাপাশি, বিশেষ বিধিমালাসহ মোট ২২টি নিয়োগ বিধিমালা ও প্রবিধানমালার সংস্কারে সুপারিশ করা হয়েছে। এসময় আইন ও নীতিনির্ধারণী কাঠামোকে আরও দক্ষ ও সময়োপযোগী করতে সরকারের মনোযোগ ছিল দৃঢ়।
প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভাগীয় মামলার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। এই সময়ে মোট ২৪টি বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং ৮টি নিষ্পত্তি হয়েছে। বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে ১৬টি মামলা। তদন্ত শেষে জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস এবং লালমনিরহাটের সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মীকে গুরুদণ্ড হিসেবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সুশাসন নিশ্চিত করতে ও প্রশাসনের কার্যকারিতা বাড়াতে এই পদক্ষেপগুলো ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমান সরকার প্রশাসন সংস্কারে যে গতি এনেছে, তা ধরে রাখার প্রত্যাশা জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।