বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ছেলে প্রসেনজিং দত্ত। আদালতের বিচারক ইফতি হাসান ইমরান মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন জয়দেব দত্তের শ্যালক অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস, তালতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রেজবী উল কবির জোমাদ্দার, সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ তৌফিকুজ্জামান তনু, বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ওরফে আলম মুন্সী এবং নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীসহ মোট ১৪ জন।
২০১৭ সালের ৫ আগস্ট তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সিপিপির ওয়্যারলেস অপারেটর কক্ষ থেকে জয়দেব দত্তের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল বলে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়।
মামলার বাদী প্রসেনজিং দত্ত অভিযোগ করেন, তার বাবার তালতলী উপজেলা শহরে প্রায় কোটি টাকার বসতবাড়ি ও ব্যবসা ছিল। আসামিরা এসব সম্পত্তি দখলের জন্যই তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে উপস্থাপন করেন।
জয়দেব দত্ত ২০০৭ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় জীবন ঝুঁকিতে ফেলে আগাম বার্তা প্রচার করে বহু মানুষের জীবন রক্ষা করেছিলেন। এ কাজের জন্য তিনি দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হন এবং বিখ্যাত টিভি অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ থেকে ‘সিডরম্যান’ উপাধিতে ভূষিত হন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম হাওলাদার জানান, আদালত পিবিআইকে নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।