রোববার (৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আনা হয়। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন।
গত ১০ জুলাই এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল এবং মামুনকে ‘অ্যাপ্রুভার’ হিসেবে গৃহীত করেন। মামলায় আজ সূচনা বক্তব্যের দিন ধার্য ছিল এবং সাক্ষ্যগ্রহণ বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
এই মামলায় পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—গণভবনে উসকানিমূলক বক্তব্য, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড, নিরীহ ব্যক্তিদের পুড়িয়ে হত্যা, এবং শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব থেকে এসব নির্দেশনার দায় স্বীকারযোগ্য হওয়া।
প্রসিকিউশন বলছে, এসব অপরাধের ফলে ১,৫০০ জন নিহত ও প্রায় ২৫,০০০ জন আহত হন। আরও উল্লেখযোগ্য অভিযোগ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চানখাঁরপুল, আশুলিয়া ও রংপুরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে।
এ মামলার বাইরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি আদালত অবমাননার মামলায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অন্য দুটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য রয়েছে যথাক্রমে ১২ ও ২৪ আগস্ট।
এই মামলাগুলো ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে দায়ের হয়, যা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।