ঢাকা , শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি, অলি পদত্যাগের পর অস্থিরতা জাতিসংঘে বিপুল ভোটে ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে সমর্থন এআই চালিত ভার্চুয়াল মন্ত্রী নিয়োগ দিল আলবেনিয়া রাশিয়া-বেলারুশ মহড়ার জবাবে সীমান্তে পোল্যান্ডের ৪০ হাজার সেনা ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বায়তুল মুকাররমে মাসব্যাপী ইসলামি বইমেলা শুরু তুরস্কে সিরিয়ান সেনা প্রশিক্ষণ, আলেপ্পো থেকে ধাপে সেনা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারা দোহায় জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলন ডাকল কাতার তুরস্কে হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা বাতিল করেছিল ইসরায়েল ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে নিহত ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্ক ইসরাইলপন্থী এক্টিভিস্ট কার্কের মৃত্যু: তারেক রহমানের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা সিরিয়ার আকাশপথে বিমান চলাচল বেড়েছে ৩৭% ভারতের বিহারে শিক্ষক নিয়োগ আন্দোলন: পাটনা শহর বন্ধ, তরুণদের ক্ষোভ স্পেন ইসরায়েলের দুই মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ডাকসু জিএস পদে ফরহাদের জয় ডাকসু এজিএস পদে মহিউদ্দীন নির্বাচিত ডাকসু ভিপি পদে বিপুল ব্যবধানে সাদিক কায়েমের জয় কাঠমান্ডুতে আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য জরুরি যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করল বাংলাদেশ দূতাবাস ডাকসু নির্বাচন: ভিপি প্রার্থী ফল প্রত্যাখ্যান, জিএস প্রার্থী শিক্ষার্থীদের রায় মেনে নিলেন ডাকসু নির্বাচনে কয়েকটি হলের ফলাফল ঘোষণা

কেন ৩০০টি বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে চীন?

  • আপলোড সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ০৬:৪৬:০৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ০৬:৪৬:০৩ অপরাহ্ন
কেন ৩০০টি বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে চীন? ছবি: সংগৃহীত
এশিয়ার দীর্ঘতম জলপথের বাস্তুসংস্থান চীনের ইয়াংজি নদী হুমকির মুখে। আর তাই এটি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৩০০ টি বাঁধ ধ্বংস করেছে দেশটি। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
 
চীনের নিউজ এজন্সি সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, রেড রিভার নামে পরিচিত চিশুই হে নদীর ৩৫৭টি বাঁধের মধ্যে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ৩০০ টি বাঁধ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
 
সিনহুয়ার ঐ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ৩৭৩টি ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪২টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে অনেক বিরল মাছের প্রজাতি তাদের প্রাকৃতিক প্রজনন চক্র পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হয়েছে।
 
রেড রিভার চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনান, গুইঝো এবং সিচুয়ানের মধ্য দিয়ে ৪০০ কিলোমিটার (২৪৯ মাইল) এরও বেশি এলাকা জুড়ে প্রবাহিত হয়। বিজ্ঞানিরা এটিকে ইয়াংজি নদীর ওপরের অংশে বিরল এবং স্থানীয় মাছের প্রজাতির শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচনা করেন।
 
কয়েক দশক ধরে, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাঁধের কারণে জলপ্রবাহ ক্রমশ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে নদীর ভাটিতে পানির পরিমাণ সীমিত হয়ে পড়ে এবং কিছু অংশ সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায়।
 
যার প্রভাব পড়ে জলজ প্রাণীদের ওপর। মারাত্মকভাবে হ্রাস পায় মাছের উপযুক্ত আবাসস্থল এবং ডিম ছাড়ার জায়গার সংখ্যা।
 
এসব বাঁধ ও জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে চাইনিজ প্যাডেলফিশ, মিঠা পানির স্টারজন প্রজাতির মাছগুলো ২০২২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেটিভ অফ ন্যাচার কর্তৃক বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
 
মূলত বাঁধ নির্মাণ এবং ইয়াংজি নদীতে জাহাজ শিল্পের বিকাশের ফলে ১৯৭০ এর দশক থেকে স্টার্জনের প্রাকৃতিক জনসংখ্যা তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০০০ সাল থেকে সমগ্র ইয়াংজি নদীতে প্রাকৃতিকভাবে প্রজনন করা কোনও স্টারজন পাওয়া যায়নি।
 
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বৃহৎ পরিসরে বিপন্নপ্রায় মাছের বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করে চীন। ফলে বিলুপ্তপ্রায় ইয়াংজি স্টার্জনসহ জলজ বন্যপ্রাণীর বিভিন্ন প্রজাতিগুলো তাদের আবাসস্থল এবং প্রাণশক্তি ফিরে পেয়েছে।
 
সিনহুয়া জানিয়েছে, চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোবায়োলজির বিজ্ঞানীদের একটি দল এই মাছের প্রজাতি পুনরুদ্ধারে আশাব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছেন।
 
উহানের ইনস্টিটিউটের গবেষক লিউ ফেইয়ের নেতৃত্বে এই দলটি ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে রেড রিভারে ইয়াংজি স্টার্জনের দুটি দল ছেড়ে দেয়। যারা জলজ পরিবেশের সাথে সফলভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এবং বেড়ে উঠছে।
 
গবেষকরা জানিয়েছেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে, তারা মাছের প্রাকৃতিক ডিম ছাড়ার আচরণ এবং সফলভাবে পোনার প্রজনন লক্ষ্য করেছেন। সংবাদ সংস্থাকে লিউ বলেছেন, এই অর্জন ইঙ্গিত দেয় যে রেড রিভারের বর্তমান পরিবেশগত পরিবেশ এখন ইয়াংজি স্টার্জনের আবাসস্থল এবং প্রজনন চাহিদা পূরণ করতে পারে।
 
জলজ আবাসস্থল হিসেবে ইয়াংজি নদীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রক্ষার জন্য চীন একাধিক নীতিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে ২০২০ সালে আরোপিত ১০ বছরের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা, নদীর জীববৈচিত্র্যকে প্রভাবিত করে এমন ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নিয়ন্ত্রণ।
 
উদাহরণস্বরূপ, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ সিচুয়ান ১,২২৩টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া জলজ প্রাণীদের বংশবৃদ্ধি ও প্রজননের জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার নদীতে বালি উত্তোলন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
 
গত বছরের আগস্টে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বেইজিং ঘোষণা করে যে, মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে জলজ জীববৈচিত্র্যের ধারাবাহিকভাবে উন্নতি হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : স্টাফ রিপোর্টার, ডেস্ক-০২

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণী ‘ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন: প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণী ‘ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন: প্রধান উপদেষ্টা