গত এক দশকে তুর্কি ড্রোন—বিশেষ করে বায়রাকতার টিবি-২—তুরস্কের বৈদেশিক নীতির কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। সেনেগাল ও মরক্কোতে ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে তা স্থানীয় বাহিনীর চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এই চুক্তিগুলো কেবল প্রযুক্তি সরবরাহে সীমাবদ্ধ নয়। এগুলোর মাধ্যমে আফ্রিকান দেশগুলো তুরস্কের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ, যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাবে—যা দীর্ঘমেয়াদে আঙ্কারার ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াবে। পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনৈতিক শর্ত ছাড়াই উন্নত অস্ত্র পাচ্ছে আফ্রিকার দেশগুলো, তবে এর বিনিময়ে তারা তুরস্কের সামরিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়ে পড়ছে।
সব মিলিয়ে, ‘বায়রাকতার কূটনীতি’ দ্রুতই আফ্রিকার গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে তুরস্কের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করার বড় অস্ত্র হয়ে উঠছে।