প্রজেক্ট আয়ারের পার্থক্য হলো এটি প্রচলিত নিরাপত্তা সফটওয়্যার থেকে ভিন্ন পদ্ধতিতে কাজ করে। এতে ফাইলের উৎস, কাঠামো বা উদ্দেশ্য সম্পর্কিত কোনো পূর্ব তথ্য না নিয়ে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করে সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ করা হয়। নিরাপত্তা বিশ্লেষণের এই পদ্ধতিটি এখন সর্বোচ্চ মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। আধুনিক সময়ে সাইবার হামলা ও সুরক্ষা ব্যবস্থায় এআই প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে, যেখানে স্বয়ংক্রিয় ও গভীর বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রজেক্ট আয়ার জটিল ম্যালওয়্যারও শনাক্তে ৯৮ শতাংশ সফল হয়েছে এবং নিরাপদ ফাইল ভুলভাবে হুমকির তালিকায় থাকার হার মাত্র ২ শতাংশ ছিল। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ম্যালওয়্যার হামলা প্রতিরোধের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রজেক্ট আয়ার মাইক্রোসফটের ‘সিকিউর ফিউচার ইনিশিয়েটিভ’ নিরাপত্তা উদ্যোগের অংশ হিসেবে চালু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন তথ্য ফাঁস ও নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে মাইক্রোসফট তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে বিশেষ নজর দিয়েছে। মাইক্রোসফট রিসার্চ, ডিফেন্ডার, ডিসকভারি এবং কোয়ান্টাম ইউনিটসহ একাধিক বিভাগ এই প্রকল্পে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। বর্তমানে প্রজেক্ট আয়ার প্রধানত মাইক্রোসফটের নিজস্ব নিরাপত্তা পণ্য ও সেবাগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত।