চিলির ডিপ র্যান্ডম সার্ভে টেলিস্কোপে ধরা পড়া ‘৩আই/অ্যাটলাস’ (3I/ATLAS) নামের এক বিশাল মহাজাগতিক বস্তুকে ঘিরে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক অ্যাভি লোয়েব মনে করছেন, এই বস্তুটি প্রাকৃতিক নয়, বরং কৃত্রিমভাবে তৈরি হতে পারে—যা ভিনগ্রহী প্রযুক্তির ফলও হতে পারে। প্রায় ম্যানহাটন দ্বীপের সমান আকারের এ বস্তুটি সৌরজগতের বাইরের অঞ্চল থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো ঝুঁকি তৈরি করবে না এবং ২০২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছাবে, তখন এর দূরত্ব হবে প্রায় ২৭ কোটি কিলোমিটার। সাধারণ ধূমকেতুর মতো এর পেছনে কোনো লেজ নেই; বরং আলো ছড়াচ্ছে সামনের দিকে—যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ২০২৫ সালের জুলাইয়ে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের তোলা ছবিতেও একই দৃশ্য ধরা পড়ে, তবে গ্যাসীয় উপাদানের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
অধ্যাপক লোয়েব মনে করেন, এটির নকশা ও গতিপথ কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য—সম্ভবত পর্যবেক্ষণ বা অন্য কোনো মিশনের—জন্য পরিকল্পিত হতে পারে। এর কক্ষপথ সূর্যের চারপাশে গ্রহগুলোর কক্ষপথের সমতল থেকে মাত্র ৫ ডিগ্রি ভিন্ন এবং যখন এটি সূর্যের কাছাকাছি থাকবে, তখন পৃথিবী বিপরীত পাশে অবস্থান করবে, যা গোপন চলাচলের সুযোগ দিতে পারে।
নাসার হিসাব মতে, ‘৩আই/অ্যাটলাস’ সৌরজগতের বাইরের অঞ্চল থেকে আসা নিশ্চিত তৃতীয় বস্তু। এর হাইপারবোলিক কক্ষপথ (খোলা রেখার মতো) ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এটি সূর্যের চারপাশে ঘোরে না, বরং আন্তঃনাক্ষত্রিক উৎস থেকে এসেছে।