ইসরাইল সরকার সামরিক বাহিনীকে গাজায় দখলভিত্তিক অভিযান অবসান করে ‘সর্বনিম্ন প্রতিরক্ষা কার্যক্রম’ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে; এই নির্দেশনা এসেছে হামাসের শান্তিপ্রস্তাবের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মাঝে তোলপাড় করা জটিল কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সরকারি তহবিল ও সেনাবাহিনী পরিচালিত আর্টি রেডিয়োর রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে রাজনৈতিক মহল সেনাবাহিনীকে গাজা সিটি দখল করার পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর্মি রেডিয়োর সংবাদকর্মী ডরোন কাদোস এমন একটি নির্দেশ সম্পর্কে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে নিশ্চিতকরণ দিয়েছেন এবং বলেছেন, বাস্তবে তা মানে হলো—গাজা শহর দখলের অভিযান এই মুহূর্তে বন্ধ।
ঘটনাপ্রবাহটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট পায় যখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত শান্তিপ্রকল্পকে হামাস ইতিবাচকভাবে গ্রহণের কথা জানায়—জিম্মিদের মুক্তি ও আংশিক প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা চালাতে আগ্রহ দেখানোর পরে ইসরাইল জানিয়েছে তারা ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুযায়ী ‘সংশ্লিষ্ট জিম্মিদের’ মুক্তি দিতে প্রস্তুত। সহস্রাধিক কূটনৈতিক শতর্কতার মধ্যেই ইসরাইলের এই নির্দেশ এবং হামাসের সাড়া মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতি ও বড়কাঠের পরিবর্তনের আশা জাগছে।
প্রসঙ্গত, ইসরাইল—হামাস সংঘাতের দীর্ঘ ও বিধ্বংসী ধারা বিবেচনায়, বেসামরিক বাসিন্দাদের ওপর বোমাবর্ষণ ও সেনা অভিযান সংক্রান্ত মানবিক প্রশ্ন ও আন্তর্জাতিক আইনগত জটিলতা বারবার উঠেছে। মার্কিন পক্ষও পরিস্থিতি সামলে দ্রুত জিম্মি মুক্তি এবং বাঁচানো-সংরক্ষণের প্রয়োজন জানিয়েছে; একই সঙ্গে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, হামাসের সদিচ্ছা মনে করছে তিনি—এবং ইসরাইলকে এখনই বোমাবর্ষণ থামাতে হবে যাতে নিরাপদ ও দ্রুত জিম্মি উদ্ধারের সুযোগ তৈরি হয়। এই মুহূর্তে ইসরাইলি সরকার বা সেনাবাহিনী বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি—তবে বিবর্তন দ্রুত ঘটছে, এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিক পর্যবেক্ষকরা পরিস্থিতির পরবর্তী অগ্রগতি নজরে রাখছেন।
উৎস: আল জাজিরা