ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ফ্রান্স। সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের পর ফ্রান্সও ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্রোঁ স্পষ্ট করে বলেন—ফিলিস্তিনিদের অধিকার স্বীকৃতি দেওয়া মানে ইসরায়েলিদের অধিকার কেড়ে নেওয়া নয়। তিনি আন্দোরা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মনাকো, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সান মারিনোর মতো দেশগুলোর কথাও উল্লেখ করেন, যারা ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তার ভাষ্য, জুলাই মাসে এসব দেশ ফ্রান্সের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনও একই পথে এগোচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কোনো পুরস্কার নয়, বরং একটি মৌলিক অধিকার। তিনি সতর্ক করে বলেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থায়ী হবে না; বরং চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে ধন্যবাদ জানান এবং নতুন বাস্তবতায় শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা আনতে সব পক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তবে ইসরাইলি দূত ড্যানি ড্যানন জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক বর্জনের ঘোষণা দেন। তার দাবি, এই উদ্যোগ তেল আবিবের কাছে কোনো সহায়ক পদক্ষেপ নয়, বরং সন্ত্রাসবাদকে উসকে দেওয়ার অংশ।